মেয়েটি খুবই সুন্দরী, নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি! চিকিৎসা করাতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা

সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ এক মানসিক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এক কলেজছাত্রী।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী বাদী হয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ রয়েলকে (আর কে এস রয়েল) রোববার রাতে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ ওরফে আর.কে.এস রয়েল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিভাগের প্রধান। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শমসের নগরে। অপরদিকে ভিকটিম কলেজছাত্রী পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সিলেট শহরের বাগবাড়ি এলাকায় একটি মেসে (ছাত্রী হোস্টেল) থাকেন।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেয়েটি খুবই সুন্দরী, তাই নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। ’ ওই তরুণী সিলেট এমসি কলেজে অনার্সে পড়েন জানিয়ে ওই চিকিৎসক পুলিশের কাছে আরও স্বীকার করেছেন, ২০১৮ সালে চিকিৎসা নিতে চেম্বারে আসলে তার (তরুণী) প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।

পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত চার বছর ধরে ওই চিকিৎসক তরুণীটিকে একাধারে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক। এ অবস্থায় গত রোববার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভিকটিম অভিযুক্ত চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বলেন, ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান।’ এরপর তিনি থানায় এসে মামলা করলে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, অভিযোগকারী তরুণী সেবা নিতে গেলে একপর্যায়ে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভিকটিককে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।